সংবাদদাতা , বাঁকুড়া : বৃক্ষ রোপন ও ট্রি এম্বুলেন্স উদ্বোধন এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই বনমহোৎসবের শুভ সূচনা করলেন রাজ্যের বনদপ্তরের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যদপ্তের মন্ত্রী জোৎস্না মান্ডি , রাজ্যের মন্ত্রী শিকান্ত মাহাতো,তালডাংরা বিধানসভার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা বনদপ্তরের আধিকারীকরা।
জেলা বনদপ্তরের উদ্যোগে তালডাংরা ব্লক কমিউনিটি হলে এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ এই উৎসবের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের বনদপ্তরের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে এদিন আদিবাসী নৃত্য ও গানের মাধ্যমে অতিথিদের সম্বর্ধনা জানানো হয় এরপর মূল তারা মূল অনুষ্ঠান পর্বে অংশ নেন। এছাড়াও এদিন সবুজশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে তিনজন শিশুকন্যার নামে তিনটি গাছের চারা তুলে দেয়া হয় তাদের মায়ের হাতে।
এদিনের এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বনদপ্তর এর বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি বললেন জঙ্গলে অধিকাংশ আদিবাসীরা মানুষরা বসবাস করে , বনদপ্তর এর একটু জায়গাতেও তাদের বাড়ির একটি খুঁটি পোতা থাকলেই তাদের অস্থির করছে বনদপ্তর। যদিও তাদের এটা নিয়মের মধ্যে পড়ে বনদপ্তরের সম্পত্তি রক্ষা করার তাও বিবেচনা করা একান্তই প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি এর পাশাপাশি তিনি এদিন বলেন মুকুটমণিপুর ডিয়ারপার্কের বেড়া তার ছাড়া থাকাই হামেশাই বেরিয়ে যায় হরিণের দল। সেখানকার মানুষ শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় তারা হরিণের উপর কোনোরকম আক্রমন করে না, তাই হরিণগুলো নিরাপদে থাকতে পারছে অথচ মানুষের প্রচুর ফসল ও অন্যান্য জিনিসের ক্ষতি করছে হরিণগুলো। বনদপ্তরের উদাসীনতায় বেরিয়ে আসছে হরিণের দল এদিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়ার আবেদন করেন তিনি এদিন এই সভা মঞ্চথেকে করেন বনদপ্তরের আধিকারিক দের।
অন্যদিকে বনদপ্তরের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা জানান তারা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট কে নতুন করে সাজাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে। গাছ রোপন এবং সবসময়ই পরিচর্যা করতে হবে যেহেতু গাছ আমাদের বেঁচে থাকার উৎসব,এই সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্য এই উৎসবের। এছাড়াও স্থানীয় ইকোপার্ক প্রসঙ্গে বলেন রাজ্যের সমস্ত ইকোপার্ক গুলিকে বনদপ্তর এর উদ্যোগে নতুন করে সাজানোর চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে এর পাশাপাশি জেলার হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন জঙ্গলের মধ্যে হাতি থাকবেই আর হাতি ও মানুষ উভয়ই যাতে সুস্থ থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে এবং এই দুর্ঘটনা যাতে কম হয় তার জন্য সন্ধ্যে ছটা থেকে ভোর ছটা পর্যন্ত বনদপ্তরের থেকে সমস্ত মানুষদের জঙ্গলের মধ্যে যেতে মানা করা হয়েছে এর পাশাপাশি যাতে হাতির আক্রমনে মানুষের মৃত্যু না হয় সেই বিষয়েও বনদপ্তর এর থেকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।