আন্তর্জাতিক


 রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি এবং রাষ্ট্রগুলির মধ্যকার বিশ্ব ইস্যুসমূহ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা-র প্রেক্ষাপটে আলোচিত হয়। এর মূল বিষয়বস্তু রাষ্ট্রের ভূমিকা, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, বেসরকারী সংস্থাসমূহ, এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনসমূহ। এটি একাধারে একটি শিক্ষায়তনিক ও সরকারি নীতি-সংক্রান্ত ক্ষেত্র, এবং এটি ইতিবাচক  বা আদর্শিক দুই-ই হতে পারে, কেননা জ্ঞানের এ শাখাটি বৈদেশিক নীতি বিশ্লেষণ ও প্রণয়ন উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়।

আন্তর্জাতিক সর্ম্পকের সংজ্ঞায় অধ্যাপক পামার ও পারকিন্স বলেছেন, " বিশ্বসম্প্রদায়ের মত আন্তর্জাতিক সর্ম্পকের অধ্যয়নও পরিবর্তনশীল।"

রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর জ্ঞানের অন্য অনেক শাখার প্রভাব আছে, যেমন - অর্থশাস্ত্র, ইতিহাস, আন্তর্জাতিক আইন, দর্শন, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, এবং সাংস্কৃতিক গবেষণা। এতে আলোচিত বিভিন্ন ইস্যুগুলির মধ্যে আছে বিশ্বায়ন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বভৈমত্বের উপর বিশ্বায়নের প্রভাব, বাস্তু সহনশীলতা, নিউক্লীয় শক্তির বিস্তার, জাতীয়তাবাদ, অর্থনৈতিক উন্নতি, সন্ত্রাসবাদ, পরিকল্পিত অপরাধ, মানব নিরাপত্তা, এবং মানবাধিকার।

আন্তর্জার্তিক সম্পর্ক সারা বিশ্বরাজনীতিকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে, তাছাড়া আলোচ্য বিষয়ের অনুসন্ধান ও চর্চা দ্বারাই সমসাময়িক থেকে আধুনিক রাজনীতি, অর্থনৈতিক ও সর্বাঙ্গীন বিষয়ে একাধিক রাষ্ট্রের ও রাজনৈতিক মতাদর্শের সম্পর্ক, বোঝাপড়া, পারস্পরিক আদানপ্রদান,সহযোগিতা এবং বাদানুবাদ ইত্যাদি বোঝা যায়. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো আন্তর্জাতিক ধারণা বা আন্তর্জাতিকতাবাদ।

অতীত কাল থেকেই বা প্রাচীন সাম্রাজ্য গুলির সময় থেকে আধুনিক সময়ের অর্থাৎ দুই বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বরাজনীতি ও ব্যবস্থা, বিশ্বায়ন, সোভিয়েত অবলুপ্তি বা তার আগের সেই প্রখ্যাত ঠাণ্ডাযুদ্ধ ও তৃতীয় বিশ্বব্যবস্থা ইত্যাদি আন্তর্জাতিক বিশ্লেষনে উঠে এসেছে এবং অর্থনীতিবিদ, সমাজতত্ত্ববিদ,রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, তাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ ও অন্যান্যদের গবেষণায় আন্তর্জাতিক খুঁটিনাটি বিষয় পরিস্ফূটিত হয়েছে যা আজও সতত পরিবর্তনশীল ও সঞ্চরণশীল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)