গ্রীষ্মকালে আঙ্গুর খাওয়া অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।  এটি গ্রীষ্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল, যা আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।  স্বাদে মিষ্টি হওয়ার পাশাপাশি এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর।  বিশেষ বিষয় হলো আঙুরকে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলা হয়েছে, এর সেবন মানসিক চাপ কমায়।

 আঙুর হল পুষ্টির ভান্ডার:- আঙুর পুষ্টিগুণে ভরপুর।  এতে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়।  শুধু তাই নয়, আঙুরে রয়েছে গ্লুকোজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং সাইট্রিক অ্যাসিড, যা আমাদের শরীরকে মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিবি, ক্যান্সার ও রক্তে সংক্রমণের মতো রোগে আঙুর খাওয়া উপকারী।

 কিভাবে আঙ্গুর সেবন করবেন?
 আয়ুর্বেদে আঙুরের গুরুত্ব অনেক।  এ থেকে তৈরি কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।  আজকাল আপনি বাজারে সবুজ, লাল, কালো, হলুদ এবং গোলাপী আঙ্গুর দেখতে শুরু করেছেন।  আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ আঙ্গুর অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।  এর রসও পান করা যায়, চিবিয়ে খাওয়ার পরও উপকার পাওয়া যায়।


সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা:-
1)পুষ্টিগুণে ভরপুর আঙুর টিবি, ক্যান্সার এবং রক্তে সংক্রমণের মতো রোগে উপকারী।
2) দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আঙুর উপকারী।  এটি মুখের উজ্জ্বলতাও আনে এবং এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখকে সুস্থ রাখে।

3) আঙুর হাড় সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।  পাওয়া
 4) পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি দুর্বল হাড় মজবুত করে।
5) আঙুর খেলে ক্লান্তি দূর হয়।  এর সাথে সাথে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।  এজন্য আঙুরের রস খেতে হবে।
6) আঙুর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।  এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখে।

কোন সময়ে আঙ্গুর খাওয়া উচিত?
 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে খালি পেটে আঙুর খাওয়া উচিত নয়।  সকালে বা বিকেলে খেতে পারেন।  সকালে খালি পেটে আঙ্গুর খেলে গ্যাস, বদহজম ও বদহজম হতে পারে।  একই সময়ে, রাতে এর ব্যবহার এড়ানো প্রয়োজন।



সংশ্লিষ্ট নিবন্ধটি পাঠকের তথ্য ও সচেতনতার জন্য। আমরা এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য এবং তথ্য সম্পর্কে কোনও দাবি করি না বা দায়িত্ব নেয় না।  আমরা আপনাকে এই বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।  আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।