কেন্দ্রীয় প্রকল্প খতিয়ে দেখতে বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

Rangamati Express
0



নিজস্ব প্রতিনিধি:বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার  অম্বিকানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রাণীবাঁধ ব্লকের অম্বিকানগর উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের ২ জন আধিকারিক এবং বাঁকুড়া জেলার শিক্ষা দপ্তরের ২ জন আধিকারিক পরিদর্শনে আসেন। এদিন বিদ্যালয়ের উপস্থিতির হার চোখে পড়ার মতো । এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১৫৩৮ জন, ছাত্রের সংখ্যা ৮১৯ জন, ছাত্রীর সংখ্যা ৭১৯ জন । এই বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখা হলো, ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষকদের সাথে কথাও বললেন আধিকারিকরা। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মিড ডে মিলে আজকে ৪৬০ জন ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছে । "ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশন, মিড ডে মিল, কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রকল্প সঠিকভাবে চলছে কিনা তা আধিকারিকরা খতিয়ে দেখে পরিদর্শন করলেন ।  নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ২০১৮ সালে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত এই বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের "ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশনের" অধীনে অটোমোটিভ এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ের উপর হাতে কলমে শিক্ষাদান শুরু হয়। কিন্তু এই প্রকল্পে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে এই দিন, ৫ বছরের বেশী সময় ধরে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক মিলছে না, ল্যাবের সরঞ্জামও মিলছে না, এমনকি এই বিষয়ে যাঁরা শিক্ষকতা করছেন তাঁরাও সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের কাছে। এই প্রকল্পে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ অর্থ বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সীর মাধ্যমে অপ ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন , রাজ্য সরকার এই দুর্নীতিকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করছেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। আইসিটি ল্যাব, বিজ্ঞান ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষকদের বসার ঘরেও আধিকারিকরা গিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুজিত মন্ডল বলেন " আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন যে সমস্যা আছে, তা আমরা আধিকারিকদের জানিয়েছি, আশা রাখছি শীঘ্রই সমাধান হবে, তবে আধিকারিকরা বেশ কিছু প্রকল্পে আমাদের পরিচালনার প্রশংসা করেছেন"।

কেন্দ্রীয় আধিকারিক ভারত রাজন বলেন " মূলত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ চালু করার আগে আমরা বিদ্যালয়গুলোর পরিকাঠামো পরিদর্শনের সাথে সাথে ছাত্র ছাত্রীরা সঠিক সময়ে পাঠ্যপুস্তক, পোশাক সহ ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশন ও অন্যান্য কেন্দ্রের যে প্রকল্পগুলো চলছে এই বিদ্যালয়ে সেইগুলোর সমস্যা আজ আমরা লিপিবদ্ধ করেছি, সমাধানের জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো"।

পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক  শিক্ষক পরিবারের বাঁকুড়া জেলা আহ্বায়ক অরূপ  সরকার বলেন "২০১৮ থেকে আমি এই বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তিমূলক বিষয়ে শিক্ষাদানের সাথে যুক্ত হলেও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার জন্য ধ্বংস হতে বসেছে এই হাতে কলমে শিক্ষা, সরকার সরাসরি পরিচালনা না করে বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সী দিয়ে এই বৃত্তিমূলক শিক্ষা পরিচালনা করার ফলে ছাত্র ছাত্রীরা কোনোভাবেই উপকৃত হচ্ছে না এবং সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট করছে এই প্রাইভেট এজেন্সীগুলি। শিক্ষকদের বেতন পর্যন্ত সময়ে দেওয়া হয়না, ২-৬ মাস পরে বেতন মেলে এবং যখন তখন ছাঁটাই করে দেওয়া হয় শিক্ষকদের, অবিলম্বে সরাসরি সরকারকে পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের দাবী জানিয়েছি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিনিধি আধিকারিকদের কাছে এবং বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়গুলি লিখিত আকারে ডেপুটেশন দিয়েছি"।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)